বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টাকের ওপর সরাসরি আঘাত, আসকের ঘুম উড়ে গেল!

ঘটনাটি ঘটেছিল ঢাকার লালমাটিয়ায়, যেখানে এক যুবককে জোর করে টাক করে দেওয়া হয়। শুধু টাক নয়, তাঁর চুলের স্টাইল ছিল ‘স্পাইকি’, যেটা এখন পুরোপুরি ‘স্পাইকি’ থেকে ‘ডাব্বা’ হয়ে গেছে!



লালমাটিয়া, ঢাকা – গতরাতে লালমাটিয়ার একটি অলিগলিতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। আমাদের প্রতিবেদক সেখানে গিয়ে যা দেখেছেন, তা কোনো সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়ে কম নয়! স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক যুবক গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন, আর তাঁর চুলের স্টাইলটি ছিল চোখে পড়ার মতো। আশেপাশের সবাই যাকে ‘স্পাইকি’ বলে চেনে, তাঁর সেই স্টাইল ছিল একদম নিখুঁত। কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় যখন একদল বন্ধু তাঁকে থামায়। তারা তাঁকে জোর করে নিজেদের কাছে টেনে নিয়ে আসে। প্রথমে তো সবাই ভাবছিল, এটা বুঝি পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়া। কিন্তু না! আসলে ব্যাপারটা ছিল অন্য।

সেখানে একজন বন্ধু ছিলেন, যিনি সম্প্রতি একটি সেলুনের চাকরি হারিয়েছিলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি কাঁচি এবং মাথার চুল কাটার অদ্ভুত এক নেশা। প্রথমে তিনি যুবকটির চুলের প্রশংসা করলেন, বললেন, "বাহ, দারুণ তো! এবার এটাকে আরেকটু আধুনিক করে দিই!" এরপর কী হলো, তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। তিনি কাঁচি হাতে নিয়েই যুবকটির মাথার চুল ছাঁটতে শুরু করলেন। শুধু ছাঁটা নয়, তিনি মনের সুখে যুবকটির চুলের সব স্টাইল নষ্ট করে দিলেন। আর সেই স্পাইকি স্টাইল হয়ে গেল একেবারে সমান। দেখে মনে হচ্ছিল, যেন মাথায় একটি রুটি বসানো আছে!

ঘটনার পর যুবকটি এতটাই অপমানিত হলেন যে, তিনি আর মাথা তুলতে পারছিলেন না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করে, "ভাই, আপনার কেমন লাগছে?", তিনি কোনোমতে বললেন, "আমার শুধু মনে হচ্ছে, পৃথিবীতে আর কোনো চুল নেই!" এরপর তিনি লজ্জায় মাথা নিচু করে চলে যান।

পরে আমাদের প্রতিবেদক সেই সেলুনকর্মী বন্ধুর সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বলেন, "ভাই, দেখুন, শিল্পীর কোনো ছুটি নেই! আর মানুষের মাথা হলো আমার ক্যানভাস! তাই আমি সেখানে একটি নতুন সৃষ্টি করলাম! এটাকে আপনারা টাক বলতে পারেন, কিন্তু আমি বলি ‘মিনিমালিস্টিক স্টাইল’।"

এই ঘটনার পর আমাদের কাছে প্রশ্ন উঠেছে: চুল কি শুধুমাত্র সৌন্দর্যের প্রতীক? নাকি এটি আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মমর্যাদা? আসক (আমাদের সংবাদ সংস্থা) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, "মানুষের চুল হলো তার পরিচয়ের একটি অংশ। এই ধরনের কাজ সরাসরি তার মর্যাদার ওপর আঘাত।"

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, আসক এখন একটি নতুন আইন তৈরির চেষ্টা করছে: "চুল সুরক্ষা আইন, ২০২৫"। এই আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি জোরপূর্বক অন্য কোনো ব্যক্তির চুল কাটতে পারবেন না। যদি কেউ এমন করেন, তবে তাঁকে তিন মাস জেল এবং এক কেজি চুলের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে। সেই চুলগুলো পরে উইগ হিসেবে বিক্রি করা হবে।

পরিশেষে, আমরা শুধু এটাই বলতে পারি: চুল যার, কাঁচি তার নয়!


শেয়ার করুন

Author:

বালেরখবর.কম - পাঠকদের মনোরঞ্জন এবং চটকদার খবর পরিবেশন, প্রয়োজনে সঠিক তথ্যও তুলে ধরা।

0 coment rios:

আপনার মতামত দিন