রাজশাহীতে জুলাই আন্দোলনের 'হামলা মামলা' নাকি 'ধর্ষণ মামলা'? কোনটা সত্য, তা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি!

প্রিয় দেশবাসী, আপনারা সবাই জানেন, গত জুলাই মাসে আমাদের দেশে একটা 'আন্দোলন' হয়েছিল। মানে, ওই যে, যেটা "যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া" করা হয়েছিল, আর তাতে "কিছু বিশৃঙ্খল মানুষ" "কিছু বিশৃঙ্খলা" তৈরি করেছিল। সেই আন্দোলনের সময় হামলা-মামলার খেলা চলছিল বেশ। কিন্তু রাজশাহীতে সেই খেলার এক নতুন ভার্সন এসেছে। 'হামলা মামলা' হঠাৎ করেই 'ধর্ষণ মামলা' হয়ে যাচ্ছে! আর এই নিয়ে জনমনে যে বিভ্রান্তি, তা এক কথায় "ধর্ষণ"! মানে, "ধর্ষণের" মতো কঠিন একটা শব্দ, কিন্তু পরিস্থিতিটা হাস্যকর।

রাজশাহী শহরে, এক ভুক্তভোগী নাকি জুলাই আন্দোলনের সময় হামলার শিকার হয়েছিলেন। সেই হামলার বিরুদ্ধে তিনি মামলাও করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেই হামলা মামলা নাকি "ধর্ষণ মামলা" হিসেবে আদালতে জমা পড়েছে। আইনজীবীরা তো শুনে হতভম্ব। একজন প্রবীণ আইনজীবী তো মাথা চুলকে বলেছেন, "বাপ-দাদাদের আমলেও এমন কেস দেখিনি!"

আমরা এই মামলার বাদীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিলাম। তিনি কোথায় আছেন, কেউ জানে না। তবে তার প্রতিবেশী নাকি বলেছেন, "আগে তো তাকে আন্দোলন করতে দেখিনি, তিনি তো দিনভর ঘুমান! আজকাল দেখি তার নামে ধর্ষণের মামলা! কেসটা একটু ঘোলাটে!"

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের জানিয়েছেন, "দেখুন, আমরা তদন্ত করছি। তবে সব মামলারই একটা 'রাজনৈতিক মোড়' থাকে, এটা তো স্বাভাবিক। এই মামলার মোড়টা একটু 'অ্যাডভান্সড'। হামলা থেকে সোজা ধর্ষণ, মানে, 'ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস' টাইপের একটা কেস!"

আরেকজন বিশ্লেষক বলেছেন, "সম্ভবত, যারা হামলা করেছিল, তারা এতটাই মারমুখী ছিল যে, ভুক্তভোগী তাদের আঘাতকে ধর্ষণের মতোই তীব্র আঘাত হিসেবে মনে করেছেন। অথবা, হয়তো মামলার ধারা পরিবর্তন করে কোনো 'বিশেষ সুবিধা' নেওয়ার চেষ্টা চলছে।"

তবে সবচেয়ে মজার বিষয়টি হলো, এই মামলার মূল আসামিরা নাকি পালিয়েছেন। কারণ, তারা নাকি ভেবেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে হামলার মামলা হবে। কিন্তু এখন ধর্ষণের মামলা হয়েছে শুনে নাকি তারা আত্মগোপন করেছেন। তাদের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আমাদের জানিয়েছেন, "তারা তো ভেবেছিল, দুই-চারটা বাঁশ আর লাঠির মামলা হবে। কিন্তু এখন এটা শুনে তাদের পুরো বংশের মানসম্মান গেছে। এখন তারা কীভাবে সমাজে মুখ দেখাবে?"

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, আমাদের দেশে এখন মামলারও বিবর্তন হচ্ছে। আগে ছিল 'রাজনৈতিক মামলা', এখন হচ্ছে 'কমনসেন্স-বিরুদ্ধ মামলা'। ভবিষ্যতে হয়তো দেখব, চুরির মামলা 'অপহরণ' হয়ে যাচ্ছে, আর চাঁদাবাজির মামলা 'প্রেমের প্রস্তাব' হিসেবে আদালতে উঠছে।

এ তো গেল রাজশাহীর কথা। দেশের অন্য প্রান্তেও এমন কোনো হাস্যকর ঘটনা ঘটলে, আমাদের 'ফান ফ্যাক্টরি নিউজ'-এর সাথে থাকুন! হাসুন, আর সুস্থ থাকুন! আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন