১০ অক্টোবর, সোমবার এক বিশেষ ঘোষণায় মিরাজ আফ্রিদি নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তি এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞানের বা সাহিত্যের গতানুগতিক ক্ষেত্রগুলো থেকে ভিন্ন পথে হেঁটে তিনি এই বিরল সম্মান অর্জন করলেন। স্টকহোম থেকে প্রেরিত এক সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর পুরস্কার প্রাপ্তির কারণ স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি, কিন্তু বৈশ্বিক গণমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চলছে।
মিরাজ আফ্রিদি তার কর্মজীবনে ঠিক কী করেছেন বা তার শিক্ষাগত পটভূমি কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো গোপন রাখা হয়েছে। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তাঁর এই পুরস্কার অর্জনের নেপথ্যে এমন কিছু রয়েছে যা সমাজের চিরাচরিত ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে। এই পুরস্কারকে অনেকে "ভদ্রতার নোবেল" বলে আখ্যায়িত করছেন, যদিও নোবেল কমিটি এই ধরনের কোনো নামকরণ আনুষ্ঠানিকভাবে করেনি।
তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তির খবর দ্রুতই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বিশেষজ্ঞ এই সিদ্ধান্তের পেছনে নোবেল কমিটির দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার অনেকেই এটাকে "নতুন যুগের নোবেল" আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। পুরস্কারের কারণ সম্পর্কে চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য এখন সকলেই অপেক্ষায় আছেন।
মিরাজ আফ্রিদির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল বাড়লেও, এখন পর্যন্ত তার কোনো সুস্পষ্ট ছবি বা বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। তিনি নিজে কোনো সংবাদ সম্মেলন করেননি বা কোনো বিবৃতিও দেননি। শুধুমাত্র নোবেল কমিটির একটি সংক্ষিপ্ত ফটো-ভিডিও ক্লিপে তাকে এক ঝলক দেখা গেছে।
এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য বা তিনি কোন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেলেন, সে বিষয়েও এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নোবেল কমিটি সকল রহস্যের উন্মোচন করবে। তবে মিরাজ আফ্রিদির এই হঠাৎ উত্থান বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যেখানে অবাক হওয়ার মাত্রাটাই বেশি।
তাঁর এই অভাবনীয় সাফল্য বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং একই সঙ্গে অনেককে ভাবিয়ে তুলেছে—নোবেল পুরস্কারের সংজ্ঞা কি পরিবর্তিত হচ্ছে? মিরাজ আফ্রিদি, এই মুহূর্তে সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় এবং আলোচিত ব্যক্তিত্বদের একজন। তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকেই সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে।
0 coment rios:
আপনার মতামত দিন