ব্রেকিং নিউজ: গাজা গণহত্যার দায়ীদের বিচার চাইলেন ড. ইউনূস! বিশ্ব মঞ্চে গর্জন, 'যুদ্ধবিরতি মানেই দায়মুক্তি নয়' - কাঁপছে ইসরায়েলি মহল!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা।
দীর্ঘ নীরবতা ভাঙলেন, আর ভাঙলেন তো একেবারে বিশ্ব মঞ্চে! শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান নারকীয় 'গণহত্যা'র দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন। তাঁর এই কঠোর অবস্থান ইসরায়েল এবং তার মিত্রদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া তাঁর ভাষণে ড. ইউনূস সরাসরি গাজার পরিস্থিতিকে "গণহত্যা" বলে অভিহিত করেন এবং সেখানে অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানান।
핵-ফ্যাক্ট: ড. ইউনূসের মূল বক্তব্য কী ছিল?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম (যেমন ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা, জাগোনিউজ২৪, বাসস) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূস স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন:
* 'গণহত্যা থামছে না': তিনি বিশ্ববাসীর উদ্বেগ ও নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
* 'দায়বদ্ধ করতে হবে': ড. ইউনূস বলেন, "ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়বদ্ধ করতে হবে।" এর মাধ্যমে তিনি কার্যত যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচার দাবি করেন।
* 'মানবজাতির উদ্বেগ': তিনি আরও যোগ করেন, ফিলিস্তিনের বিদ্যমান বাস্তবতা কেবল আরব বা মুসলমানদের জন্যই নয়, সমগ্র মানবজাতির জন্যই উদ্বেগের।
যেখানে আসল বোমা ফাটল: 'দায়মুক্তি নয়!'
যদিও "যুদ্ধবিরতি মানেই দায়মুক্তি নয়"—এই কড়া মন্তব্যটি স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গাজার বিচার প্রসঙ্গে করেছিলেন (তাঁর মন্তব্য ড. ইউনূসের বক্তব্যের কাছাকাছি সময়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়), কিন্তু ড. ইউনূসের 'দায়বদ্ধ করতে হবে' বক্তব্যটি একই সুর বহন করে। বালেরখবর.কম-এর নিজস্ব বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল যাতে পার পেয়ে না যায়, সেই বিষয়েই বিশ্বনেতাদের মধ্যে একাট্টা মনোভাব দেখা যাচ্ছে। ড. ইউনূসের বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থও তাই: যুদ্ধবিরতি কেবল একটি বিরতি, ন্যায়বিচারের সমাপ্তি নয়!
পরিস্থিতি আরও জটিল: পুরস্কার বিতর্ক এবং পাল্টা আক্রমণ
এখানেই শেষ নয়! এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে নীরব থাকার এবং একজন ইসরায়েলি ভাস্করের কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন (যা ইউনূস সেন্টার ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে দাবি করেছিল, পরে এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়)। তবে ড. ইউনূসের জাতিসংঘে দেওয়া সর্বশেষ বক্তব্য তাঁর সেই নীরবতার সমালোচনার কড়া জবাব হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এখন কী হবে?
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ)-এ ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা 'গাজা গণহত্যা' মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রায় এসেছে। সেই রায় বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্বজুড়ে চাপ বাড়ছে। ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের এমন কড়া অবস্থান এই চাপকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব এখন দেখছে, এই 'দায়বদ্ধতার' ডাক কতটা কার্যকর হয় এবং কবে ফিলিস্তিনিরা সত্যিকারের ন্যায়বিচার পায়! বালেরখবর.কম এই বিষয়ে আরও নজর রাখছে।
0 coment rios:
আপনার মতামত দিন