এই মুহূর্তে সবথেকে চনমনে খবরটি আসছে গোপালগঞ্জ থেকে! আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, এই এলাকাটি সাধারণত শান্ত আর সুবোধ থাকার জন্য বিখ্যাত। কিন্তু সেই গোপালগঞ্জেই আজ কিনা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল আর সমাবেশ করেছে। কেন্দ্রের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ, আর তাদের দাবিনামা শুনলে মনে হবে যেন পুরোনো কবিতার বইয়ে নতুন করে 'প্রচ্ছদ' লাগানো হয়েছে!
পাঁচ দফার 'পাঁচমিশালি' মেলা!
জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জুমার নামাজের পর শহরের গেটপাড়া থেকে মিছিল শুরু হয়ে পৌর পার্কে গিয়ে শেষ হয়। তাদের দাবিগুলো নাকি মোট পাঁচ দফা। একেকটা দাবি যেন একেকটা 'মহাভারত'-এর গল্প!
তাদের মূল দাবিগুলোর দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নিই, আর এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা 'মজা'টা বের করি:
১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই: জামায়াত চাচ্ছে 'জুলাই জাতীয় সনদের' ভিত্তিতে নাকি আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। শুনে মনে হচ্ছে, এটা যেন একটা 'সিজনাল অফার'— জুলাইয়ের সনদ, আর ফেব্রুয়ারিতে ভোট! মাঝের মাসগুলোতে কী হবে, সেটা নিয়ে অবশ্য কেউ কিছু বলেনি!
২. পিআর (PR) পদ্ধতি চালু করা: তারা আগামী নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি (Proportional Representation— আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) চালু করার দাবি করেছে। এই দাবির পেছনের 'খোঁচা'টা হলো: এতে নাকি ছোট দলগুলোও কিছু আসন পাবে। এক মুরগি বিক্রেতা আমাদের বললেন, "আরে বাবা, এত প্যাঁচানো পদ্ধতির দরকার কী? ভোটে যে দল বেশি মুরগি দেবে, সেই দলই জিতবে— এইটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি!"
৩. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা: এইটা বোধহয় সবথেকে 'টক-ঝাল-মিষ্টি' দাবি! তারা স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। যেন এই দলগুলো নিষিদ্ধ হলেই দেশের সব সমস্যা মিটে যাবে! দর্শক সারির এক বৃদ্ধ হাততালি দিয়ে বললেন, "আহারে! রাজনীতিতে এইটাই তো নিয়ম! যার ক্ষমতা কম, সে অন্যকে নিষিদ্ধ করতে চায়! যেন ছোটবেলার খেলার মাঠ— 'তুই হারলে আর খেলতে পারবি না'!"
৪. সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা: এই দাবি নিয়ে মানুষের তেমন কোনো দ্বিমত নেই, তবে 'দৃশ্যমান' শব্দটা নিয়ে অনেকে মজা করেছেন। তাদের বক্তব্য, বিচার যেন শুধু 'টিভি স্ক্রিন'-এ দেখা না যায়, কাজেও যেন দেখা যায়!
৫. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: সবার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিও আছে। শুনলেই মনটা জুড়িয়ে যায়! যেন সবাই মিলে একই মাঠে ফুটবল খেলবে— কিন্তু একজন খেলবে বুট পরে, আরেকজন খালি পায়ে!
উপ-সংহার: জনতার কৌতুক
সবমিলিয়ে, গোপালগঞ্জের এই বিক্ষোভ একদিক থেকে যেমন রাজনীতির অংশ, তেমনই আরেক দিক থেকে জনজীবনে কিছুটা 'বিনোদন' নিয়ে এসেছে। তবে সমাবেশ শেষে বেশিরভাগ লোক নাকি নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেছে। তাদের প্রশ্ন: "এতদিন পর গোপালগঞ্জে এসে এত কড়া কড়া কথা! এদের সাহস দেখে তো আমরাই অবাক!"
আমরাও চাই, রাজনীতির মাঠ যেন সবসময় জমজমাট থাকে। তা না হলে আমরা "বালের খবর" বানাবো কী করে!
আজ এই পর্যন্তই। হাসতে থাকুন, আর খবরের মজা নিতে থাকুন!
শুভ রাত্রি! (কিন্তু দাবিগুলো নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না যেন!)
0 coment rios:
আপনার মতামত দিন