সরেজমিন গিয়ে দেখা গেল করুণ দৃশ্য। জ্যামে গাড়ির হর্ন বন্ধ, ড্রাইভারদের মুখ বন্ধ— কেবল পেটের ভেতরের 'কচিং-মচিং' শব্দটা ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই। এক বাসযাত্রী, যাঁর নাম মনে হলো "ধৈর্যহীনের বাপ", তিনি জানালেন, "ভাইরে, আমার মুরগিটার সাথে শেষ কথা হয়েছিল দুই দিন আগে। সে বলছিল, 'তুমি না ফিরলে ডিম পাড়ব না।' এখন কী হবে? আমি তো গাড়ির ভেতরেই হাঁসফাঁস করে যাচ্ছি!"
এদিকে, এক টয়োটা করোলা গাড়ির ছাদের ওপর বসে এক তরুণ হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন! তাকে প্রশ্ন করায় তিনি জানালেন, "আরে বাবা, কী করব? নিচে নামলে পায়ের ফাঁকে ফাঁকে ভ্যান ঢুকে যাবে। তার চেয়ে বরং সুর করি। জ্যামের দুঃখ, সুরের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে যাক!" বোঝা গেল, হতাশা এখন শিল্পের জন্ম দিচ্ছে।
অন্যদিকে, জ্যামে আটকে থাকা এক দম্পতি গাড়ির ভেতরেই 'লুডো' খেলা শুরু করেছেন! তাদের লক্ষ্য— গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে লুডোতে কে কার 'গুটি' কটা কাটতে পারে! তাদের বক্তব্য, "আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, হয় জ্যাম ছাড়বে, নয়তো লুডোর 'ছক্কা'য় ছয় পড়বে!"
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক 'অদৃশ্য' কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "আসলে, রাস্তাটা একটু ভেজা ছিল। তার ওপর সবাই একবারে আসতে চেয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আমরা নাকি এক 'ফ্লাইং-কার' নামাচ্ছি, যাতে মানুষ উড়ে যেতে পারে।" (তবে সেই 'ফ্লাইং-কার' জ্যামে আটকে আছে কিনা, তা তিনি বলতে পারেননি।)
বালের খবরের মন্তব্য:
দেখুন, এটা সড়ক না, এটা আসলে 'সর্ষের তেলীয় কিসসা'! গাড়িগুলো এমনভাবে পরস্পরের সঙ্গে লেপ্টে আছে, মনে হচ্ছে সবাই মিলে একটা 'আচার' তৈরি করছে। আর আমরা সবাই সেই আচারের উপাদান। 🥒
এই জ্যাম কেবল সময় নষ্ট করছে না, বরং মানুষের জীবন থেকে 'শান্তি' নামক বস্তুটি কেড়ে নিচ্ছে। তাই, আমাদের একটাই অনুরোধ— প্লিজ, রাস্তাগুলোকে একটু শ্বাস নিতে দিন। আর না হলে, লুডো খেলার প্রস্তুতি নিন।
😭 জ্যামের কবলে পড়ে এখন "গুটি" হয়ে যাওয়া আমরা, এখানেই শেষ করছি আজকের "বালের খবর"। ফিরব, যদি ফিরতে পারি! 🎤
শুভ রাত্রি! (যদিও সেটা এখন দিনের বেলা মনে হচ্ছে!)
0 coment rios:
আপনার মতামত দিন