বালের খবর: বিশেষ প্রতিবেদন
স্থান: গোটা বঙ্গদেশ জুড়ে, বিশেষ করে পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানগুলিতে।
নমস্কার! এইমাত্র পাওয়া এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর নিয়ে হাজির হয়েছি, যা দেশের তরুণ (এবং প্রবীণ) সিঙ্গেল সমাজের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সাধারণত ভোটে প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেন রাস্তা, জল, বিদ্যুতের। কিন্তু এবার এক অদ্ভূত প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন এক নবীন রাজনীতিবিদ শ্রী ফটকা রঞ্জন। তাঁর দলের নাম: 'চিরকুমার সংঘ মুক্তি মোর্চা'।
গতকাল রাত ৮টায় পাড়ার মোড়ে এক জনসভায় শ্রী ফটকা রঞ্জন ঘোষণা করেছেন, "যদি আমাদের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই পাস হবে 'বিয়ের বিল'! শুধু রাস্তা বানাবো না, জীবনসঙ্গীর কাছে যাওয়ার রাস্তাও মসৃণ করে দেব!"
তাঁর মূল নির্বাচনী ইশতেহার: "ঘরে ঘরে বর-বউ, মুখে মুখে হাসি!"
এই ঘোষণার পরই জনসভায় সিঙ্গেল ছেলে-মেয়েরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। কেউ কেউ তো এখনই বিয়ের শপিং শুরু করে দেওয়ার প্ল্যান করছে!
ফটকা রঞ্জনের আরও কিছু চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি:
১. সরকারি ডেটিং অ্যাপ: প্রতিটা যোগ্য নাগরিকের জন্য একটি করে 'সরকারি ডেটিং অ্যাপ' তৈরি করা হবে, যেখানে আধার কার্ডের তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন হবে, যাতে কেউ ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে 'মাছের তেলের দাম' জিজ্ঞেস করতে না পারে।
২. বিশেষ সরকারি কোটা: সরকারি চাকরি এবং ভর্তুকির পাশাপাশি 'বিয়ের বাজারে'ও সিঙ্গেল ছেলে-মেয়েদের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে।
৩. রোমান্টিক পার্ক: প্রতিটা পাড়ায় একটা করে 'রোমান্টিক পার্ক' তৈরি করা হবে, যেখানে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ নিষেধ, যাতে পাড়ার কাকু বা কাকিমা দূর থেকে উঁকি মেরে 'কী হচ্ছে রে বাবা?' না বলতে পারে।
৪. শ্বশুরবাড়ি নির্মাণ ঋণ: নতুন করে যারা সংসার শুরু করবে, তাদের জন্য 'শ্বশুরবাড়ি নির্মাণ ঋণ'-এর ব্যবস্থা! (তবে সেই ঋণের কিস্তি শোধ করবে কে, তা নিয়ে এখনো কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই!)
ফটকা রঞ্জন আরও বলেন, "আমরা জানি, প্রেম করাটা এখন পেঁয়াজের দামের চেয়েও বেশি অনিশ্চিত। তাই আমরা সরকার থেকে গ্যারান্টি দিচ্ছি। কেউ যদি সঙ্গী না পায়, আমরা 'স্পেশাল ম্যারেজ প্যাকেজ' দিয়ে মিলিয়ে দেব!"
এই ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলি অবশ্য কটাক্ষ করে বলেছে, "আগে নিজের জীবনের ঝোলা সামলাও! ফটকা রঞ্জন নিজেই তো গত দশ বছরে চারবার গার্লফ্রেন্ড বদলেছেন! উনি আবার কী করে সঙ্গী খুঁজে দেবেন?"
প্রেম, ভালোবাসা, আর ভোট... সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে জমে ক্ষীর! এই প্রতিশ্রুতি সিঙ্গেলদের মনে নতুন আশার আলো জাগিয়েছে, আবার বিবাহিতদের মনে পুরোনো স্মৃতি (এবং হয়তো কিছুটা আফসোস!) ফিরিয়ে এনেছে। এখন দেখার বিষয়, 'চিরকুমার সংঘ মুক্তি মোর্চা' ক্ষমতায় আসে কিনা, আর এলে ফটকা রঞ্জন কি সত্যি সত্যি 'প্রেমের সরকার' গঠন করতে পারেন! নাকি নির্বাচনের পর সব প্রতিশ্রুতি 'ফাঁকা আওয়াজ' হয়ে যায়!
আপাতত এই খবর নিয়েই শেষ করছি। আমি বালু দাস। দেখতে থাকুন, বালের খবর, কারণ বালের খবর না দেখলে আপনাদের দিনটাই তো বাল!
শুভ রাত্রি! (আর যারা সিঙ্গেল, তাদের জন্য আগাম শুভকামনা!)
0 coment rios:
আপনার মতামত দিন