দাঁত গেল, মান গেল, এবার মুক্ত হলো 'দাঁত-ভাঙা' ছাত্রদল নেতা! নিউইয়র্ক পুলিশের কাণ্ডে হতবাক বাংলাদেশের পলিটিক্যাল 'দাঁতের ডাক্তার'রা!
উপস্থাপক: হ্যাঁ, দর্শক! আপনারা ঠিকই শুনেছেন। বাংলাদেশের পলিটিক্সের ঝালমুড়ি এখন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে! সেখানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সামান্য বাকবিতণ্ডা গড়িয়েছিল হাতাহাতিতে, আর সেই হাতাহাতির ফলস্বরূপ ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় মিয়ার দুটি দাঁত নাকি 'স্বাধীনতা' ঘোষণা করে মুক্ত হয়েছিল! আর সেই 'স্বাধীনতা' এনে দিয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা রিয়াজ রহমান হোসাইন। এরপরই তো নিউইয়র্ক পুলিশ তড়িৎ অ্যাকশন নিয়েছিল। কিন্তু, আসল 'টুইস্ট'টা হলো অন্য জায়গায়।
ছাত্রলীগ নেতার দাঁত ভাঙার অভিযোগে আটক হওয়া ছাত্রদল নেতা রিয়াজ হোসাইনকে নাকি নিউইয়র্ক পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে! খবর পেয়ে আমাদের 'বালের খবর'-এর নিজস্ব গোয়েন্দা দল, যারা সারাক্ষণ শুধু ঝালমুড়ি আর নিউইয়র্কের সাবওয়েতে ঘোরাঘুরি করে, তারা অনুসন্ধান করে যা জানালো— তা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে না, কারণ এইগুলো বাংলাদেশে খুবই স্বাভাবিক!
পুলিশ নাকি তাকে ছেড়ে দিয়েছে দুটো কারণে।
কারণ-১: দাঁতের চিকিৎসা নিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের 'হিউম্যান রাইটস' জ্ঞান!
নিউইয়র্ক পুলিশের এক কর্মকর্তা (যার নাম আমরা খুঁজে পাইনি, কারণ তিনি সম্ভবত 'ঝামেলা' এড়াতে ছুটিতে আছেন) নাকি বলেছেন, "আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বড় কোনো ক্রাইম। কিন্তু পরে দেখলাম, এটা 'পলিটিক্যাল ডেন্টাল ফ্র্যাকচার'। আর এটা একটা 'লোকাল পলিটিক্যাল' ইস্যু। এর জন্য আমেরিকান ট্যাক্স পেয়ারের টাকা খরচ করে জেলে রাখাটা 'অর্থনৈতিকভাবে বুদ্ধিমানের কাজ নয়'।" তিনি নাকি আরও বলেন, "দাঁত ভেঙেছে? সেটা ডাক্তারের কাছে যাবে। জেলখানায় কেন? এটা তো কোনো ড্রাগ ডিলিং বা ওয়াল স্ট্রিট স্ক্যাম নয়!"
কারণ-২: আসল চমক! 'গণরুম' ও 'গেস্টরুমের' অভাববোধ!
পুলিশ নাকি রিয়াজ হোসাইনকে জিজ্ঞেস করেছিল, "ভাই, আপনি দাঁত ভাঙার পর অনুতপ্ত নন?" জবাবে রিয়াজ নাকি বলেছেন, "স্যার, সত্যি বলতে, আমি এখানকার জেলখানার আরামে হাঁপিয়ে উঠেছি! এটা কোনো জেল হলো? কোনো 'গণরুম' নেই, 'গেস্টরুমের' নামে কেউ টর্চার করে না, গভীর রাতে বড় ভাই এসে সিগারেট খেতে বলে না, কোনো 'টেনশন' নেই! আমাদের দেশে এসব ছাড়া রাজনীতি করে তো কোনো মজা নেই, 'নেতৃত্বের' ফ্লেভার আসে না!"
পুলিশ তার কথা শুনে নাকি হেসে ফেলে বলেছে, "ভাই, আপনার দেশেই আপনার 'নেতৃত্বের' আসল প্রশিক্ষণ হবে। যান, ফিরে যান! আমরা আপনাদের 'গণরুমের' ঐতিহ্য নষ্ট করতে চাই না!"
উপস্থাপক (হাসতে হাসতে): দর্শক, ভাবা যায়! আমাদের দেশের পলিটিক্সের এমন 'ঐতিহ্য', যা কিনা নিউইয়র্ক পুলিশকেও হার মানিয়ে দিল! দাঁত ভাঙার বিচার না হলেও, ছাত্রদল নেতার কাছে যেন 'গণরুমের' সুখের কাছে জেলখানার 'আরাম'টাও তুচ্ছ মনে হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতার দাঁত ভাঙল, ছাত্রদল নেতা মুক্ত হলেন, আর নিউইয়র্ক পুলিশ বুঝল— বাঙালি পলিটিক্সের ডাল-ভাত অন্যরকম! এই নিয়েই আজকের 'বালের খবর' শেষ করছি। আমাদের পরবর্তী খবর দেখার আমন্ত্রণ রইল। ততক্ষণের জন্য— দেশের খবরাখবর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন!
0 coment rios:
আপনার মতামত দিন